পুলিশের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন– অতিরিক্ত উপকমিশনার (সুপারনিউমারারি উপকমিশনার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) জুয়েল রানা ও শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপকমিশনার রফিকুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে তিন ধাপে পুলিশের ২৬ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দেওয়া হয়।
ডিবি উত্তরের যুগ্ম কমিশনার রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
গুলশান থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ সমকালকে বলেন, ডিবির একটি দল রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশে হস্তান্তর করে। ২০১৩ সালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসার সামনে বালুর ট্রাক রেখে অবরুদ্ধ করার মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুক্রবার তাঁকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রফিকুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই রায়হানুল ইসলাম সৈকত। বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার ঘটনার সময় রফিকুল ইসলাম গুলশান থানার ওসি এবং পরে গুলশান বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গৃহকর্মী লিজা আক্তার হত্যার মামলায় অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানাকে চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগে কর্মরত জুয়েল রানাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়। গত ৫ সেপ্টেম্বর লিজার বাবা জয়নাল শিকদার শেখ হাসিনাসহ ১৭৪ জনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন।
এ ছাড়া অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহেন শাহকেও গ্রেপ্তার করেছে ডিবি। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। ডিবি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও এ কে এম শহীদুল হকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।