পরীমনি বিয়া করার কারণে জাতির বিবেক বা জাতির মরালিটি যে খুশিতে টগবগাইয়া উঠছে, এর কারণ জাতির এই বিবেকই ওনারে বিয়া করতে বাধ্য করছে। ক্রমাগত হ্যারাসমেন্ট, গ্রেপ্তার, প্রাইভেসি লংঘন, উচ্ছল জীবন যাপনে বাধা, সর্বোপরি সিঙ্গেল থাকার যত আনন্দ আছে তাতে জাতীয়ভাবে নাক ঢুকাইয়া ও বিঘ্ন তৈরি কইরা পরীমনিকে বিয়া করতে বাধ্য করা হইছে।
শুধু বিয়া যেহেতু বিয়া কিনা সেই সন্দেহ থাইকা যায়, তাই তারে বাধ্য করা হইছে বিয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চা নিয়া নিতে। যাতে পরে সুবিধা মতো সময়ে স্বামী ছাইড়া দিতে পারলেও বাচ্চা ছাড়তে না পারে পরীমনি।
আমার সন্দেহ শুধু জাতি না, অতীব ক্ষমতাবান কোনো অভিভাবকের তরফে এই বিয়া ও বাচ্চা ঘটনায় তারে রাজি করানো হইছে।
নাইলে বিয়ার খবরের আগেই বাচ্চার খবর চাউর করতে হইতেছে কেন?
আহা পরীমনি!
২.
আপনি কি মনে করেন গোয়েন্দা সংস্থা ও পুলিশের না জানামতেই তিনি বিয়া করছেন?
তার বিয়ার ব্যাপারে এতদিন পর্যন্ত তথ্য লুকাইতে পুলিশ কেন নিরবতার মাধ্যমে সাহায্য করলো?
এইটা খুঁজলেই বাকিটা বুঝতে পারবেন।
পরীমনি যেহেতু পুলিশ বা আদালতের নজরের মধ্যে ছিলেন, তাই তার বিয়ের কথা পুলিশকে জানাইতে বাধ্য পরীমনি। পুলিশ সে তথ্য লুকাইছে।
তারা পাবলিকরে জানান নাই যেহেতু সেইটা তাদের কাজ না, কিন্তু লুকানো যখন তাদের কাজ তখনই সন্দেহ দেখা দেয়।
পুলিশ-সাংবাদিক ভাই-ভাই সম্পর্ক সত্ত্বেও সাংবাদিকদের কাছে এই বিয়ার খবর লুকানোর মধ্যে পুলিশের উপর চাপ বা গোপন স্বার্থ কাজ করছে ধারণা করা যায়।
(ব্রাত্য রাইসুর ফেসবুক থেকে)