বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া থাকলে শিক্ষা ও গবেষণার মানের উন্নয়ন হবে বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক নীতি আলোচনার বক্তারা। তারা বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী যদি একটি মিথস্ক্রিয়ামূলক গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারে তবে শিক্ষা ও গবেষণার সার্বিক মানের উন্নতি হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মুক্তমঞ্চে ‘বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা সংস্কারে তারুণ্যের প্রত্যাশা’ শীর্ষক নীতি আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ইউএসএআইডির অর্থায়নে ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনের আওতায় এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এটিএম আতিকুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। শিক্ষক রাজনীতির অপব্যবহার ও শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা ও গবেষণার মূল্যায়ন না থাকার ফলে ব্যাহত হচ্ছে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিবেশ। সে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভালো মানুষ এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে পারছে না। আলোচনায় দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ নিজার এবং আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মুশফিক উস সালেহীন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বিতার্কিক শায়লা রহমান ইমার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও আলোচক হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া জাহান। ইউএসএআইডির স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিল) প্রকল্পের আওতায় ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে নাগরিক প্রত্যাশা তুলে ধরতে সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলায় আলোচনা, নাট্যপ্রদর্শনী, বিতর্ক প্রতিযোগিতাসহ নানা কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও ক্যাম্পেইনটির আওতায় ধসরড়লরঃঃবপযধর. পড়স ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রহণ করা হচ্ছে নাগরিকদের দাবি ও মতামত। প্যানেল আলোচনা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ডেপুটি চিফ অব পার্টি (প্রোগ্রামস) আমিনুল এহসান। এ সময় তিনি ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বলেন, ‘আমিও জিততে চাই’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যখনই প্রয়োজন তখনই আপনার চাওয়া জানাতে পারবেন, আমরা সেটা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করব। আমাদের অধিকারের প্রতি আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। এ সময় অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য দেন জেইউডিও সভাপতি তাপসী প্রাপ্তি।