সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে বিগত সরকারের অত্যন্ত প্রভাবশালী লোকজন জড়িত ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। পাশে থেকে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন তাঁদেরও নাম এসেছে। তদন্তের স্বার্থে নাম বলায় আইনি বাধা থাকায় এখনই বলা যাচ্ছে না। যেহেতু কোনো বাধা নেই, তাই তদন্ত শেষে এই নামগুলো সামনে আসবে।
গতকাল রবিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের হোটেল রয়েল ইনের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়সভায় এসব কথা বলেন সাগর-রুনি হত্যা মামলায় নিয়োজিত আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড হয়েছে ২০১২ সালে। প্রায় ১২ বছর পর একটা টাস্কফোর্স গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে তদন্তের জন্য।
যেহেতু আমি আইনজীবী হিসেবে যুক্ত হয়েছি, তাই এর প্রাথমিক যে নথি তা দেখার সুযোগ হয়েছে। মামলাটি যেহেতু তদন্তে আছে এখন সব কিছু বলা যায় না। শুধু এটুকু বলা যায়, আমার কাছে মনে হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে এখানে। সেই দিক ধরে তদন্ত করতে পারলে এই হত্যাকাণ্ডের শেষ অংশে যাওয়া সম্ভব।
’
এই আইনজীবী বলেন, ‘বেশ কিছু সংবেদনশীল মানুষের নাম সামনে এসেছে। যাঁদের নাম সামনে এসেছে তাঁরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে। সেই নামগুলো আমি এখানে বলছি না। তবে আমার কাছে মনে হয় এখন তদন্তটা সঠিক পথেই আছে। যে জায়গায় গিয়ে তদন্তটা থেমে গিয়েছিল সেখানে সরকার আর বাধা দিচ্ছে না।
যেহেতু বাধা দিচ্ছে না, দু-একটি জবানবন্দি আসছে, যেগুলোতে খুবই সংবেদনশীল তথ্য সামনে এসেছে। এর জন্য আমার কাছে মনে হয় অগ্রগতি হবে।’
শিশির মনির আরো বলেন, ‘যে কটা তথ্য এসেছে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটা ডিএনএ রিপোর্ট। সাগর ও রুনির শরীর থেকে দুজন ব্যক্তির ডিএনএ শনাক্ত করা গেছে। এই দুজন ব্যক্তি কে তা খোঁজা হচ্ছে। আশা করি স্বল্প সময়ের মধ্যেই এই দুজনের তথ্য আপনারা জানতে পারবেন। এগুলো সামনে এলে সব কিছু সহজভাবে নেওয়া সম্ভব হবে। আপাতত কোনো বাধা নেই, উদ্দেশ্যের কোনো সংকট নেই। এ ব্যাপারে সরকারের আগ্রহের কোনো ঘাটতি দেখা যাচ্ছে না। বাকিটা ছয় মাস পর তদন্ত সম্পন্ন হলেই জানতে পারবেন।’