কথায় আছে সবসময় থাকতে হয় হাসিখুশি। এর উপকারিতাও রয়েছে অনেক। সবসময় হাসিমুখে থাকলে দূরে থাকে অনেক রোগব্যাধিও। গবেষকদের মতে, হাসিমুখে থাকা বা আনন্দে থাকলে সেটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
অপরদিকে দীর্ঘ সময় ধরে মনের ভেতরে নেতিবাচক অনুভূতি থাকলে সেটি কারণ হতে পারে অনেক শারীরিক সমস্যার। আর সেটির প্রভাব চেহারাতেও পড়ে। এটির ফলে তাড়াতাড়ি বুড়ো ভাব দেখা দিতে পারে আপনার ত্বকে। যে যত বেশি রেগে থাকবেন বা খিটখিটে থাকবেন, তার ত্বকের বুড়ো ভাব তত বেশি বেড়ে যাবে।
রাগ করলে সাধারণত আমাদের মুখের পেশিগুলো কুঁচকে যেতে থাকে। এর কারণে মুখে দেখা দিতে পারে বলিরেখার মত সমস্যা। আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনে একটি সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলে, যাদের রাগ বেশি তাদের ত্বকে নতুন কোষ তৈরি হতে অনেক বেশি সময় লাগে।
তাই পরে কখনও রেগে যাওয়ার আগে একবার ভেবে নিতে পারেন যে এটি করে আপনি কতটা ক্ষতি করতে যাচ্ছেন আপনার ত্বকের। এ চিন্তার কারণে আপনার রাগটা একটু কমলেও কমতে পারে।
এ ছাড়া রাগের কারণে বেড়ে যায় মানসিক চাপ। আর মানসিক চাপ খুব বেশি থাকার কারণে শরীরে কর্টিসোল হরমোন তৈরি হয়। এটি শরীরে নানারকম অঙ্গপ্রতঙ্গের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আর এ হরমোনের কারণে মিষ্টি খাবার ও জাংক ফুড খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে এবং পানি কম খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। আর এগুলো সব কিছু ত্বকের ওপরে অনেক ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।
এ ছাড়া অতিরিক্ত রাগ মানুষের শরীরে আরও অনেক প্রভাব ফেলে। যেমন—
১. অতিরিক্ত রাগের কারণে হতে পারে আলসার ও বদহজমের মতো সমস্যা।
২. এটি শরীরে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
৩. এটি শরীরে উচ্চ রক্তচাপ, বুকে ব্যথা, মাথাব্যথা, মাইগ্রেন, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৪. এটি ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা বাড়ানোর পাশাপাশি সৃষ্টি করে স্ট্রেস ও।
৫. অতিরিক্ত রাগের কারণে ত্বকে বুড়োভাব আসার পাশাপাশি র্যাশ, পিম্পল বা ব্রণের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৬. বেশি রাগের কারণে হার্টের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা কমে যায় এবং এটি হৃৎপিণ্ডের পেশিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ বিষয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রায়ই রেগে যাওয়ার কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৭. যারা অল্পতেই রেগে যান তাদের স্ট্রোক, কিডনির রোগ ও স্থূলত্বের ঝুঁকি বেশি থাকে।
৮. হঠাৎ করে রাগ হলে সেটি আমাদের মস্তিষ্কের ওপর প্রচণ্ড চাপ ফেলে। এ কারণে মস্তিষ্কের রক্তনালিগুলো কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।