মহামারিকালে ঘরবন্দি জীবনে মানুষের চা-কফি পান বেড়েছে। বেশি বেশি চা-কফি পান করে অনেকে দাঁতে দাগ করে ফেলেছেন। অনেকের দাঁতে ব্যথাসহ নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
সঠিক উপায়ে চা-কফি পান করলে দাঁতে দাগ হবে না। সুস্থ জীবনযাপন করা যাবে।
এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, চা-কফি পান করার সময় কিছু নিয়মনীতি মেনে চললে দাঁতের এনামেলের ওপর দাগ পড়বে না।
অল্প অল্প করে অনেক সময় লাগিয়ে কফি পান করার পরিবর্তে এক বসায় ১০ মিনিটের মধ্যে কফি পান শেষ করুন। কিন্তু তাই বলে এক ঘণ্টা সময় নেওয়া কোনো অবস্থাতেই ঠিক হবে না।
চা-কফি পান শেষ হয়ে গেলে এক গ্লাস পানি দিয়ে মুখের অভ্যন্তরে ভালোভাবে কুলকুচি করবেন। আর আপনি যদি কোনো অনুষ্ঠানে থাকেন, তা হলে মিনারেল ওয়াটারের বোতল থেকে একটু পানি মুখে নিয়ে নাড়াচাড়া করে তা খেয়ে ফেলুন। এতে করে কফি পান করার কারণে দাঁতের এনামেলের ওপর কোনো দাগ পড়বে না।
আপনি যদি আইস কফি বা কোল্ড কফি পান করতে পছন্দ করেন, তা হলে অবশ্যই একটি উন্নত মানের স্ট্র বা পাইপ দিয়ে কফি পান করুন। এতে দাঁতের এনামেলের ওপর কফির দাগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
লক্ষ্য রাখবেন— আইস কফি পান করার সময় কোনোভাবেই আইস বা বরফ খণ্ড কামড়াবেন না। যদি এ রকম করেন, তা হলে আপনার দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ধীরে ধীরে দাঁতের এনামেলে ফাটল দেখা দিতে পারে। তবে এটি একদিনে না-ও হতে পারে।
হট কফি বা কোল্ড কফি পান করার পর যদি ব্রাশ করার সুবিধা থাকে; অর্থাৎ আপনি যদি বাসায় বা অফিসে নিজস্ব রুমে অবস্থান করেন, তা হলে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করে নেবেন। এতে করে কফির কারণে দাঁতের এনামেলে কোনো ধরনের দাগ পড়বে না।
ফল ও শাকসবজি খাবেন। ফলের মধ্যে মাল্টা, আপেল, কমলা, নাসপাতি, জাম্বুরা, আমড়া খেতে পারেন।
আপনার দাঁত যদি অতি সংবেদনশীল হয়; অর্থাৎ দাঁত শিরশির করে তা হলে এনামেলের ওপর দাগ এবং সংবেদনশীলতার চিকিৎসা একসঙ্গে করাতে হবে। আলাদাভাবে তেমন কোনো খরচ হবে না।
কুলকুচি করা, দাঁত ব্রাশ করা এবং নিয়মকানুন অনুসরণের মাধ্যমে অবশ্যই আপনার দাঁতের এনামেলের ওপর কফির দাগ ধীরে ধীরে চলে যাবে।
তবে যারা কফি পান করেন আমি তাদের কফি পান করতে নিষেধ করব না। এটুকু বলব— অতিরিক্ত কফি পান করবেন না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালীন মাশরুম কফি পান করতে পারেন। বিশ্বের নামিদামি ব্র্যান্ডের মধ্যে গ্যানোকফি থ্রি ইন ওয়ান পান করলে আপনি অনেক ধরনের উপকার পাবেন।